শিশুর খাবারে নুডলস
পুষ্টিবিদরা বলছেন, শিশুরা যদি দিনে তিন বেলা নুডলস খেতে চায়, তাতে বিশেষ কোনো সমস্যা নেই। নুডলসের সঙ্গে রাখা যেতে পারে পুষ্টিকর সবজি।
সকালের নাশতায়
সকালের নাশতা হতে পারে রকমারি নুডলস দিয়ে। তবে লক্ষ রাখতে হবে, নুডলসের সঙ্গে যেন ডিম, সবজি থাকে। তাতে শিশুর শরীরের সঙ্গে খাবারে পুষ্টিগুণের মাত্রা ঠিক থাকবে। সে ক্ষেত্রে মুরগির ডিম দিয়ে ভেজিটেবল নুডলস রান্না করতে পারেন। দিতে পারেন শিশুর পছন্দমতো সবজিও।
দুপুরে বা রাতে মূল খাবারের তালিকায় নুডলস
শিশুদের মূল খাবারের তালিকায় নুডলস রাখা যেতে পারে। শিশুর শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী খাবারের তালিকায় নুডলসের পাশাপাশি সমপরিমাণ মাংস, সবজি ও দুধজাতীয় খাবারও থাকতে হবে। এতে বাড়ন্ত শিশুর শরীর সঠিক মাত্রায় পুষ্টি পাবে। সে ক্ষেত্রে সিদ্ধ মুরগির মাংস ও সবজি দিয়ে স্যুপ নুডলস কিংবা টমেটো চিকেন নুডলস রান্না করতে পারেন।
টিফিন
চটজলদি টিফিন বানানোর জন্য নুডলসের জুরি নেই। নুডলস দিয়ে বানাতে পারেন স্যান্ডউইচ, বার্গার কিংবা রোল। এতে সাধারণ নুডলসই হয়ে যাবে অসাধারণ।
নুডলসে নাশতা
বিকেলের নাশতায় তৈরি করতে পারেন নুডলসের সবজি পাকোড়া কিংবা চিকেন নুডলস বল। তবে লক্ষ রাখতে হবে, খাবারে তেলের পরিমাণ যেন কম থাকে। খাবারে কম তেল স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
পুষ্টিবিদের কথা
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, ‘ভাত বা রুটির বিকল্প হিসেবে নুডলস খাওয়া যেতে পারে। সাধারণত আটা ও চাল এই দুই উপকরণ দিয়ে নুডলস হয়ে থাকে। আটার নুডলসে ফাইবার ও প্রোটিন বেশি পরিমাণে থাকে। তবে যেসব বাচ্চার গ্লুটিনে সমস্যা আছে বা রক্তে ল্যাকটেড অ্যামোনিয়ার পরিমাণ বেশি, তাদের জন্য রাইস নুডলস ভালো। দিনে হালকা নাশতা হিসেবে কিংবা মূল খাবার হিসেবেও শিশুরা নুডলস খেতে পারে। এমনকি চাইলে তিন বেলাও।
সতর্কতা : নুডলস বানানোর ক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে, তাতে যেন টেস্টিং সল্ট কিংবা প্যাকেটজাত কোনো মসলা ব্যবহার করা না হয়। সাধারণত বাজারের বিভিন্ন নুডলসের সঙ্গে এসব মসলা দেওয়া হয়। এটি শিশুদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এই লবণ রক্তে এক ধরনের বিষাক্ত উপাদান অ্যামোনিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা বাচ্চাদের হাইপার অ্যাকটিভ করে তোলে। বিশেষ করে অটিস্টিক বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ ক্ষতিকর। নুডলস খেতে সমস্যা নেই, তবে এর প্যাকেট মসলা থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
Reviews
There are no reviews yet.